জৈন্তাপুরে নিজ ঔরসজাত কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে পিতাকে আটক করেছে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ। আটক হওয়া ওই ব্যাক্তির নাম তোতা মিয়া(৪৬)। সে কানাইঘাট উপজেলার বাউরভাগ লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের ছেলে। বর্তমানে সে পরিবার নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী এলাকায় বসবাস করে আসছিলো।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সোমবার (১৭ই ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৬:৩০ ঘটিকায় তোতা মিয়ার ১৩ বছর বয়সী মাদ্রাসা পড়ুয়া কন্যা সন্তানকে ধর্ষণরত অবস্থায় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আটক করে তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
পরে স্হানীয়রা পাষন্ড ওই পিতাকে উত্তমমধ্যম দিয়ে আটক করে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম কিশোরীর দেয়া ভাষ্যমতে ধর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ আরো জানায় ভিকটিম ওই কিশোরীর মা বিয়ানীবাজার থেকে বিভিন্ন বাসাবাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে। গোয়াবাড়ী এলাকায় তার পিতা তোতা মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তান সহ বসবাস করে আসছিলো।
পরে ধর্ষক তোতা মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী আফিয়া বেগম প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে স্বামী তোতা মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ আরো জানায়, ভিকটিম কিশোরী তার সৎ মাকে জানায় গত দুই সপ্তাহ যাবৎ একাধিক বার তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার বাবা তাকে ধর্ষণ করে আসছিলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর ( তদন্ত) মোহাম্মদ উসমান গনি। তিনি জানান উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের সৎ মা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯(১)২০০০ সালের সংশোধনী ধারায় ইচ্ছা বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করেছে। মামলা নং - ৭ তাং ১৭/০২/২০২৫। তিনি আরো বলেন আটক আসামি তোতা মিয়াকে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ পাহারায় আদালতে সোপর্দ পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভিকটিম ওই কিশোরীকে অধিকতর চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।