1. babujsb84@gmail.com : নাগরিক সংযোগ : নাগরিক সংযোগ
  2. info@www.nagorikshongjog.online : নাগরিক সংযোগ :
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
জৈন্তাপুরে কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্রদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ভারতীয় চিনি সহ আটক -২ ঈদের ছুটিতেও সিলেটে চলছে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম জৈন্তাপুরে সেনা অভিযানে ভারতীয় মদ সহ আটক -১ জৈন্তাপুরে ২০০১ এসএসসি ব্যাচ’র ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত মহিষের অবৈধ হাঁট উচ্ছেদের পর এবার হরিপুর বাজারে মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্হাপনা সরানোর নির্দেশ জৈন্তাপুর হরিপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উচ্ছেদ হলো অবৈধ মহিষের হাঁট জৈন্তাপুরে চারিকাঠা ইউনিয়ন জাসাস’র পক্ষ থেকে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৬০কেজি গাঁজা সহ একজন আটক জৈন্তাপুরে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবসে শহীদ গণকবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ

ইউএনও’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ জৈন্তাপুরে প্রাচীন জৈন্তা রাজ্যের স্হাপনা পেলো নান্দনিকতার ছোঁয়া

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

 

সাইফুল ইসলাম বাবু – জৈন্তাপুরে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো জৈন্তা রাজ্যের কিছু স্হাপনার ধ্বংসাবশেষ নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় এখনোও দৃশ্যমান। মোঘল সম্রাজ্যের আমলে বৃহত্তর এই জৈন্তার জনপদ ছিলো মোঘল শাশনামলের বাহিরে। সে সময়টা ছিলো স্বাধীন জৈন্তা রাজ্য যা এখনো পরিচয় বহন করে বর্তমান প্রজন্মের নিকট।

দীর্ঘ এতগুলো বছর জৈন্তা রাজ্যের শাসনামলের সমাপ্তির পরও এখনও কিছু স্মৃতি বিজড়িত চিহ্ন রয়ে গেছে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের আশপাশে। কালের বিবর্তনে অনেক স্হাপনা ধ্বংস কিংবা মানুষের দখলে চলে গেলেও যে কয়টা স্হাপনা বা মেঘালিথ পুরাকীর্তি রয়েছে তাও দীর্ঘ সময় ধরে জরাজীর্ণ অবস্হাতে ছিলো।

তার মধ্যে অন্যতম জৈন্তেশ্বরী ইরাদেবী রাজবাড়ীর একটা বিশাল অংশ গত বছর বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর ও মেঘালিথ টম্ব বাস্তবায়নে জনাজির্ণ অবস্হা থেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে এর স্হাপত্যশৈলীকে দৃশ্যমান করা হয়েছে। বর্তমানে ইরাদেবী রাজবাড়ীর বটতলা এলাকায় বিশাল এই অংশটি দর্শনার্থীদের আকর্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু।

এ ছাড়াও প্রাচীন জৈন্তা রাজ্যের কিছু ছোট বড় স্হাপনা বা ধ্বংসাবশেষ রয়েছে যে গুলো সঠিক পরিচর্যার অভাবে ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল কিংবা ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছিলো।

এ রকমই একটি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ জৈন্তাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জমে থাকা বিশাল ময়লার ভাগাড় যা গত সেপ্টেম্বরে পরিস্কার করে তৈরী করা হয়েছে ফুলের বাগান। আর এই মহৎ কাজের স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া।

তার উদ্যোগে জৈন্তাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের বর্তমান দৃশ্যের কারণে তিনি সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন। শুধুমাত্র এই একটি কাজে নয় বরং এবার উপজেলার বিভিন্ন স্হানে ছড়িয়ে থাকা অবহেলায় অযত্নে পড়ে থাকা স্হাপনা গুলোতে সংস্কার কাজে হাত দিয়েছেন তিনি।

এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে জৈন্তাপুর ঐতিহাসিক রাজবাড়ী খেলার মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে জৈন্তা রাজ্যের আরেকটি স্হাপনাকে নানন্দিকতায় রূপান্তরের কাজ প্রায় শেষের পথে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত স্হাপনায় একটি প্রাচীন আমলের স্হাপত্যশৈলী চুন সুড়কীতে নির্মিত একটি গোলাকার আকৃতির ঘর। কথিত আছে ১১০৭ শতকে এই স্হাপনাটি কালি মন্দির হিসেবে ব্যবহারিত হত। এক দরজা বিশিষ্ট এই ঘরটির ঠিক পাশেই প্রবেশ ফটকের একটি নিদর্শন এখনোও দৃশ্যমান। দীর্ঘদিন যাবত শেওলা,পরগাছা আকড়ে ধরা বর্তমানে রাজার আমলের ঘরটি পরিস্কার করে সহজে তার ভিতরে প্রবেশ করতে পারছে সকলে। এই ঘরটির স্হাপত্যশৈলী যেমন বাহিরে তেমন নান্দনিকতার ছোঁয়া রয়েছে ভিতরের অংশে।

এ ছাড়াও ইউএনও’র উদ্যোগে এই স্হাপনাটির আশপাশে ঢালাই করে দর্শনার্থীদের চলাচলের ব্যবস্হা সহ ফুলের বাগান তেরীর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

এ বিষয় জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, প্রাচীন জৈন্তা রাজ্যের স্হাপনা গুলো এখনো যেখানে, যে অবস্থায় রয়েছে সবগুলোকে পর্যায়ক্রমে তার স্থাপত্যশৈলীকে দৃশ্যমান করার উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এই সকল স্হাপনাগুলো সংরক্ষণ করে একটা মিনিআ্যচার তৈরী করার পরিকল্পনার কথা তিনি জানান। যাতে করে সারা দেশ হতে আগত পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিকট প্রাচীন জৈন্তা রাজ্যের ইতিহাসটা ভালোভাবে বুজতে ও অনুধাবন করতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট